ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
আশাশুনির ১১ ইউপির প্রার্থীরা ভোটারদের দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ৫৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সর্বমোট ৬১৭ জন চেয়ারম্যান, মেম্বর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে এসব অঞ্চলের অলিগলি নির্বাচনি পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেটে ছেয়ে গেছে। গত ২০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে স্ব- স্ব এলাকায় প্রার্থীদের পোষ্টার ও ব্যানার শোভা পাচ্ছে। অধিকাংশ প্রার্থী ও তার কর্মীরা প্রতিদিন কাক-ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়নবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ আর নিজের পক্ষে অধিক জনসমর্থন প্রদর্শন করতে মাঝে মধ্যে কোন কোন প্রার্থীর পক্ষে মোটরসাইকেল বহরযোগে গণসংযোগ করতেও দেখা যাচ্ছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন চায়ের স্টল, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় আর রাজনীতি সচেতন মানুষের মুখে মুখেও চলছে আগামী ৫ জানুয়ারি’২২ আশাশুনির ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলাপ আলোচনা। কখনো কখনো আবার চায়ের আড্ডায় বা রাজনৈতিক পরিচয় এর সূত্র ধরে প্রার্থীদের ভালো-মন্দ দিক, জনসেবা, যোগ্যতার মাপকাঠি নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রার্থীরা রাতদিন একাকার করে নিজের পরিচিতি তুলে ধরে ভোটারদের দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রæতি। কেউ কেউ বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র ও নির্বাচনি ইশতেহার তুলে ধরে ভোটারদের কাছে বিতরণ করছেন লিফলেট। মোটকথা নির্বাচনকে ঘিরে এখন সকল ইউনিয়নে জমজমাট প্রচার-প্রচারণা চলছে। উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৫৬ জন প্রার্থী রয়েছে। যার মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক ১১ জন, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীক ২ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীক ৪ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীক ১ জন ও বাকী ৩৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা, ঘোড়া, আনারস, মোটরসাইকেল, টেবিল ফ্যান, টেলিফোনসহ বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে ১১ ইউনিয়নের ৩৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১৩৩ জন প্রার্থী মাইক, বই, কলম, বক, হেলিকপ্টার, সূর্যমূখী ফুল, তালগাছ, ক্যামেরা, জিরাফসহ বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এছাড়াও উপজেলার ৯৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বর পদে ৪২৮ জন প্রার্থী আপেল, মোরগ, ব্যাট, ভ্যান গাড়ি, বৈদ্যুতিক ফ্যান, টিউবওয়েল, ফুটবল, ঘুড়ি ও তালা প্রতীকসহ বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রার্থীদের নির্বাচনি আচরণ বিধি প্রতিপালনের জন্য বিশেষভাবে আহŸান করা হয়েছে। এছাড়াও প্রার্থীরা যাতে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করতে না পারে, সে ব্যাপারে মোবাইল কোর্ট প্রস্তুত রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ৫ জানুয়ারি’২২ বুধবার উপজেলার ১১ ইউনিয়নে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আচরণ বিধিমালা অমান্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত গোটা এলাকায় মাইকের সাউন্ডের যন্ত্রণায় ভোটারদের কান ঝালাপালা হয়ে উঠেছে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের আইন রয়েছে প্রার্থীদের পোষ্টার নির্বাচনি এলাকায় অবস্থিত দেয়ালে লাগানো যাবে না। কিন্তু সেটা কেউই মানছেন না। বিভিন্ন ঘরের দেয়াল, বিদ্যুতের খুঁটি, শৌচাগারসহ গাছে গাছে প্রার্থীদের পোস্টার লাগানো হয়েছে। বাদ যায়নি স্কুলের দেয়ালও। ইউনিয়নগুলোতে তেমন বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর না পাওয়া গেলেও ইতিমধ্যে প্রার্থীর তোরণে আগুন লাগানো, অফিসে হামলা, পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা, সমর্থকদের উপর হামলা, হুমকী ধামকীর অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। 8,634,650 total views, 14,200 views today |
|
|
|